রংপুর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ নির্ধারিত সময়ের সোয়া দুই ঘণ্টা আগেই শুরু হয়েছে। শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পৌনে ১২টায় কোরআন তিলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে গণসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।

নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন স্থানে গুলিতে দলের নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে বিএনপি।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ রংপুরে তাদের চতুর্থ বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু।ইতোমধ্যে সভামঞ্চে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ, যুগ্ম মহাসচিব হারুন উর রশিদ, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবিব (দুলু), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের মহাসচিব শহিদুল ইসলাম (বাবুল), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনোকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ জুয়েলসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত হয়েছেন।সমাবেশ মঞ্চ ও মাঠের আশপাশসহ প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১৩০টি মাইক টাঙানো হয়েছে।

মাঠের পাশাপাশি নেতাকর্মীরা আশপাশের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠ বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠছে। দলীয় প্রতীক ধানের শীষ ছাড়াও ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন নিয়ে এসেছেন নেতা-কর্মীরা।

তবে তীব্র রোদের কারণে অনেকে সড়কের পাশে ছায়ায় জড়ো হয়েছেন।মাঠে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও রংপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থক ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দলীয় লোকজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। যাদের বেশিরভাগই ভোর হওয়ার আগেই সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছেছেন।